মিজানুর রহমান মিজান
মানব জীবন ক্ষয়িষ্ণু এ পৃথিবী পৃষ্টে। পদে পদে ক্ষয়িত। জীবনটা সময়ের সাথে আবদ্ধ। সময় যেমন থেমে থাকে না কখন ও। জীবন যাত্রা ক্ষয় থেকে নয় অক্ষয় , নেই বিশ্রাম। চলছে অবিরাম। যাত্রাহীন গন্তব্য পথের দিকে ধাবিত। স্বল্প সময়ে যাত্রা বিরতী তুল্য পৃথিবীর বসবাস সময়টুকু। এতদসত্তে ও সীমিত সময়টুকুকে মানুষ বহুবিধ কর্মকান্ডে রাখে ব্যস্ত , ব্যপ্ত। কেহ থাকে আনন্দ আহলাদে , কেহ থাকে বেদনা বিষাদে। সুখ-দু:খ পার্থক্য অবশ্যই থাকে দু’য়ের মাঝে বিদ্যমান। তবু ও মানব জীবন থাকে বহমান।
বহতা নদীর ন্যায় মানুষ ছুটে চলে দেশ থেকে দেশান্তরে , অজানাকে জানার অদম্য স্পৃহা নিবারণার্থে। তাছাড়া কৌতুহল নিবৃত্ত ও স্রষ্টার অপূর্ব সৃষ্টি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সার্থক প্রয়াস চলে নিরন্তর। এমনি বৃটেনের স্তায়ী বাসিন্দা আমার ভাগনা-ভাগনীরা বায়না ধরে বাংলাদেশের পর্যটন স্তান ভ্রমণ করে একটি দিনকে জীবন খাতায় কালজয়ী করে রাখতে।
তাদের আব্দারকে রক্ষা করে , স্মৃতিময় করে তোলতে , শিশুদের কৌতুহল প্রাকৃতিক নৈসর্গিক দৃশ্যাবলী অবলোকনে শিক্ষণীয় আকর্ষিক সমৃদ্ধি জাগরণে সহায়তা স্বরুপ সিদ্ধান্ত নিলাম সিলেটের তিনটি পর্যটন স্তান পরিভ্রমণের। পর্যটন কেন্দ্রগুলো নিকটে হলে ও যাচিছ , যাব বলে দেখা হয়নি। সুতরাং তাদের আব্দারের পাশাপাশি নিজের দেখার বাসনার ও পরিসমাপ্তি হেতু দ্রুত তারিখ নির্ধারণ করে নিলাম। স্তানগুলো হচেছ সিলেট পর্যটন মোটেল , ইকো পার্ক জাকারিয়া সিটি ও ড্রীমল্যান্ড পার্ক পরিদর্শন।
অনেক কাজ করার , দেখার স্পৃহা থাকলে ও তা অনেক সময় অবদমিত রাখতে হয় জীবন চাকার ঘূর্ণায়নে। এটাকে অবহেলাই বলা চলে। বাস্তবে রুপ দিতে চাই মনের দৃঢ়তা সংকল্প সহকারে। যাব বললেই যাওয়া হয় না। আজকাল করেই শুধু কালক্ষেপণ। এতে সুযোগের সদব্যবহার হয় না। সদব্যবহার করতে হলে মনের সহিত সঙ্গতিপূর্ণতায় এগিয়ে যাবার আগ্রহ যোগ একান্ত অপরিহার্য। এখনই যে কোন কিছু বাস্তবায়ন সম্ভব।
সুতরাং মনের সকল দ্বিধা-দ্বন্ধ কেটে উঠতে সক্ষম হলাম অনুজদের প্রেরণার উৎস ভেবে। দু’টো লাইটেস ভাড়া করে নিলাম তাৎক্ষণিক। নির্ধারিত দিনের আগমণ প্রতীক্ষায় কাটে প্রহর। অনুজদের সে কি আনন্দের জোয়ার বহমান হৃদয় বন্দরে। তা দেখে সত্যিই অভিভুত। একে অন্যের সহিত শলাপরামর্শ আলাপ আলোচনা কে কোন পোষাক পরিধান করবে এবং সঙ্গে নেবে কি কি ইত্যাদি পরিকল্পনা গ্রহণ এবং ফটো উত্তোলনের ক্ষেত্রে জুটি বাঁধার সিদ্ধান্ত যথা নিয়মের অন্তর্ভুক্ত। অত:পর গাড়ি সাথে থাকায় পোষাক নিতে সুবিধা অনেক। আবার সর্ব কনিষ্টদের অতি আগ্রহ কি কি আছে , দেখা যাবে তা জানার উদগ্র বাসনা।
অগ্রিম অবগতির ফলে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সুযোগ হাত ছাড়া করতে অনীহা। নির্দিষ্ট দিন দশ ঘটিকায় আমাদের যাত্রারম্ভের সিদ্ধান্ত পাকা পোক্ত। সঠিক সময় গাড়ি এসে দরজায় দণ্ডায়মান। প্রস্তুতি পর্ব ও সমাপ্ত সবার। আয়োজন মাফিক সর্ব কাজ সমাপনান্তে উঠে গেলাম গাড়িতে। দশটা চল্লিশ মিনিটে আমাদের গাড়ি বিশ্বনাথ থেকে প্রথমেই পর্যটন মোটেল অভিমুখে ছুটে চলল।
প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ সকলের আসা হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে সমস্বরে ”হ্যাঁ” শব্দে যেন আকাশ বাতাস মুখরিত। তাদের আনন্দ উচছাস , উৎফুল্লতা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। সোয়া এগারটায় আমাদের গাড়ি পৌছাল সিলেট শহরের যানজট পেরিয়ে পর্যটন মোটেল সংলগ্ন চা বাগান অতিক্রম করে আমাদের লন্ডন প্রবাসী সর্ব কনিষ্ট ভাগনা অত্যন্ত চঞ্চল সালমান বায়না ধরে চা বাগানের প্রাকৃতিক দৃশ্যে দাড়িয়ে একটা ছবি তোলার।
কি আর করা গাড়ি থামালাম বাগানের নিকট অথচ রাস্তার এক পার্শ্বে একটি উচু টিলার মধ্য দিয়ে কেটে রাস্তা হয়েছে। এক পার্শ্বের খানিক উঁচু অংশে সুন্দর ব্যবস্তা দেখে মনে হল ঐ স্তানে অনেক পর্যটক উঠেন আর ছবি তোলেন মনের আনন্দে। স্তানটি অবশ্যই আকর্ষনীয় ও মনোমুগ্ধকর। এক সঙ্গে ঐ স্তানে দাড়িয়ে পাঁচ জনের অধিক অবস্তান নেয়া সম্ভব নয় বিধায় গ্র“পিং করে কয়েকটি ছবি উঠানো হয়। সালমান প্রতিটি গ্র“পেই থাকবে নতুবা সে কি কান্না কাটি শুরু করে ? সুতরাং তাকে প্রত্যেক গ্র“পেই থাকার সুযোগ দেয়া হয়েছে। তাকে নিয়ে সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়। নতুবা কখন কি ঘটাবে এ শংকায় তটস্ত।
যাহোক এখান থেকে পর্যটন মোটেলে যাবার জন্য গাড়িতে উঠে বসলাম। স্বল্প সময়ে পৌছে গেলাম মোটেলের রাস্তায়। সরু এ রাস্তার উভয় পার্শ্বে সারি বেঁধে অনেক সি এন জি এবং লাইটেস রাখা। গাড়ির চালকবৃন্দ গাড়িতে বসে খোশ গল্পে মত্ত। আবার কেহ নীচে সুন্দর সবুজ ঘাসে বসে করছেন যাপিত জীবনের এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে দৃশ্যাবলী অবলোকন। আমাদের গাড়ি ও এখানে রেখে নেমে পড়লাম। মুল গেইটের নিকট যেতে পাকা আঁকাবাকা এবং তীর্যক ভাবে উপরের দিকে তৈরী রাস্তা ধরে চললাম। রাস্তার উভয় পার্শ্বে সুউচচ গাছের সারি ছায়া নিবিড় শান্ত পরিবেশ মানুষের মনে এনে দেয় ভাবালুতা।
অনেক প্রকারের গাছের অপরুপ সৌন্দর্য ভ্রমণ পিপাসুদের মনকে করে তোলে অতি সহজে আকৃষ্ট। প্রবেশ পথের পূর্বে অতি মনোরম কারুকার্য সম্বলিত স্তান তৈরী পূর্বক ফুলের বাহারী সমাবেশ প্রশস্ত পাকা বারান্দা দৃষ্টি নন্দনের আরেক কার্যকারন। প্রবেশ মুল্য পরিশোধে টিকেট কিনে একে একে সবাইকে ভিতরে ঢুকিয়ে নিজে ঢুকলাম সবার পিছনে। আছে স্থানে স্থানে বসার জায়গা। কোথা ও পাকা বেঞ্চের মত আবার কোথা ও ঘাসের উপর বসার উপযোগি।
কোনটি মানুষের অধিক ব্যবহারে মসৃণ ও পরিপাঠি তুল্য। দুপুর বেলা হবার সুবাদে দৃশ্যত মানুষের তেমন আধিক্য নেই। তবে আছে জুটি বেঁধে যত্র তত্র তরুণ তরুণীর বসার দৃশ্য অধিক। অনেক ক্ষেত্রে অত্যন্ত দৃষ্টি কটু। আমরা দল বেঁেধ ঘুরে ঘুরে পায়ে হেঁটে দেখলাম উচু নীচু সমতল ভুমির ওপর গাছ গাছালীর সবুজের সমারোহ। নৈসর্গিক দৃশ্য আর পাখির কলতান হৃদয়ে জাগাল এক অপূর্ব সুর ব্যঞ্জনার মিশ্রনের আবেশ। প্রকৃতির অপরুপ বাহার ছড়িয়ে আছে শোভা বর্ধনে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের হৃদয়ে। অনেক প্রকার খেলা ধুলার এবং আনন্দ উপভোগের সরঞ্জাম সত্যিই শিশু কিশোরদের উপযোগি , উৎফুল্লতার মুল আকর্ষন।
তথাপি এখানে প্রায় দু’ঘন্টার মত সময় অবস্তান করে চললাম ইকো পার্ক জাকারিয়া সিটির উদ্দেশ্যে। জাকারিয়া সিটির অবস্তান মুল রাস্তা থেকে অনেক দুরে কাঁচা সরু রাস্তা ধরে যেতে হয় সম্পূর্ণ গ্রামীণ পথ ধরে। তবে গাড়ি চালনা করতে হয় ঢিমে তালে অনেকটা শারিরিক কসরত তুল্যে ব্যায়াম সদৃশ। কখন ও বাড়ির সীমানা সংলগ্ন। আবার কখন ও ক্ষেতের জমির মধ্য দিয়ে একে বেঁকে। জাকারিয়া সিটির প্রবেশ পথের সন্নিকটে দুই তিনটি ছোট ছোট দোকান রয়েছে। গাড়ি হতে নামতেই তাদের কথা ছিল আবার দাবার এর কাজ সমাপ্ত করে যান।
কারন ভিতরে পানীয় বা খাবার দ্রব্য সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। অভ্যন্তরে দ্রব্যমুল্য অত্যধিক। সুতরাং পানাহার পর্ব এখানে সমাপন শ্রেষ্ট বলে আকৃষ্ট করার কৌশল। বিশ টাকা প্রবেশ মুল্য হারে টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম অভ্যন্তরে। পানীয় ও খাবার বস্তু রেখে যেতে হয় প্রবেশ পথের গেইট সংলগ্ন অভ্যন্তর ভাগে নিরাপত্তা কর্মীর হেফাজতে। প্রবেশের পর প্রথম নজর কাড়ে একটি পাঁকা রাস্তার দু’ধারে সুন্দর ও মনোরম বৃক্ষরাজি এবং ফুলের গাছের থোকা থোকা দৃশ্য। ডান পাশে গাছ গাছালী , বাম পাশে দৃষ্টি নন্দন লেক পিকনিক স্পট।
যেখানে আগত পর্যটকরা নৌকা চড়ে আনন্দ উপভোগ করেন। ঐ রাস্তা ধরে সম্মুখে অগ্রসর হলে মোটেল পর্যন্ত যাবার রাস্তা। এখানে বসার ও স্তান রয়েছে। নয়নাভিরাম দৃশ্য , প্রকৃতির উজাড় করা সৌন্দর্য , শোভাবর্ধনকারী। অত:পর বাম পাশে সরু রাস্তা দিয়ে উচু টিলা অবস্তিত। সেখানে সুন্দর ও আকর্ষনীয় স্পট তৈরীর কাজ চলছে। মোটেলে রয়েছে বিনোদন মুলক সকল সুযোগ সুবিধা , পর্যটকদের হৃদয়জ প্রশান্তি , প্রতিভা বিকাশের অনেকগুলো কর্মকান্ড। আছে সুইমিং পুল নির্ধারিত ফিস প্রদান পূর্বক ব্যবহারের। রয়েছে হল রুম সেমিনার , অনুষ্ঠান , বিয়ে-শাদী ইত্যাদিও নিমিত্তে। জাকারিয়া সিটিতে অনেক প্রজাতির ফুল , ফল , বনজ ও ঔষধী গাছের সমাহারে মন মুগ্ধকর বাগান রয়েছে। উচু টিলা থেকে বাম পাশ দিয়ে নামলে কয়েকটি প্রজাতির প্রাণী রাখা হয়েছে লৌহ নির্মিত খাচাঁয় আবদ্ধ করে। এ দিকে এগুলোতে দেখতে পেলাম আরো সমৃদ্ধির , আকর্ষন বৃদ্ধির জন্য শ্রমিক কর্মরত। এক সময় হাঁটতে হাটঁতে লেক , পিকনিক স্পট এবং পাশেই বহির্গমণ রাস্তা তথা মুল ফটক।
অধিক গরম ও লোক সমাগম কম থাকায় এখানে কোন খেলাধূলায় অংশ গ্রহণ করিনি বলে সোমা মেজো ভাগনী অতিশয় রাগান্বিত। কাউকে কিছু না বলে গাল ফুলিয়ে সে বসে আছে। কাছে গিয়ে প্রীতি ও মমতায় জিজ্ঞাসার প্রতি উত্তরে জানায় হতাশার নীল বেদনা। ব্যাখ্যা দিয়ে যখন ড্রীমল্যান্ডের কথা ও উপযুক্ত সময় বিবেচনার সম্ভাব্যতা দেয়া হল নিমেষেই আনন্দে আত্মহারা। বের হয়ে গাড়িতে বসলাম যার যার আসনে। এবার আমাদেও যাত্রা ড্রীমল্যান্ড অভিমুখে ঐ দিনের প্রান্তিক আনন্দ উপভোগ , অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ে।
ড্রীমল্যান্ড পার্কে পূর্বের উভয় পার্ক থেকে দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক অনেক। তুলনামুলক হার দাড়াবে ১:১০ তুল্যে। ড্রীমল্যানড পার্কে উপস্তিতির হারের ব্যবধানের ক্ষেত্রে সময় অত্যধিক অনুকুলে বলে ও প্রতীয়মান। কারন বিকেল বেলা হওয়াতে সুবিধা বাড়তি বলে গণ্য। যাহোক ড্রীমল্যান্ড পার্কের প্রবেশ পথের সম্মুখ ভাগ বেশ প্রশস্ত গাড়ি পার্কিং সুবিধা বিবেচনায় হয়ত। প্রবেশ পথের তোরণ বেশ উচু এবং চওড়া অনুপম সৌন্দর্য্যরে এক নিদর্শন। টিকেট কাউন্টারে অবস্তানরত দায়িত্বশীলদের ভদ্র , শালীন , অমায়িক ব্যবহার দর্শনার্থীকে করে অভিভুত। অভ্যন্তরে প্রবেশ করে যার যার ইচেছ মত খেলায় অংশ নিতে বা গ্রহণ করতে সম্মতি প্রদান করতেই তাদের কি যে আনন্দ উচছাস , উল্লাস তা কেউ না দেখে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে বৈ কি ?
মনের সাথে সম্পৃক্ততা এবং অংশ গ্রহণের সুবিদার্থে ওরা জুটি বেঁধে নেয় তাৎক্ষণিক। আমি টিকেট কেটে কেটে ওদেরকে গ্রপিং মত জায়গায় পৌছে দিতে লাগলাম। একেক গ্র“প বা জুটি একটি খেলার পর অপর খেলার আব্দার যথা সময় ও নিয়মে অংশ গ্রহণে সুবিধা করে আমার দায়িত্ব শেষ করছিলাম। মাঝে মাঝে এটা ওটা কিনে দেবার আব্দার রক্ষা করতে হয়েছে। কোনটি ওরাই কিনে নিচিছল।
এক সময় ওরা ক্লান্তি বোধ করে এবং অধিক রাত্রি হবার শংকায় ফিরে আসার অভিমত ব্যক্ত করলে ঘড়ির প্রতি তাকিয়ে দেখি সন্ধ্যা সাতটা চল্লিশ মিনিট। এর মধ্যে দু’বার মোবাইলে বাসা থেকে বলা হচেছ কবে আসছি। এত বিলম্ব করা সমীচিন নয়। সুতরাং ফিরে আসার উদ্যোগে ব্রতী হলাম। বেরিয়ে গাড়ির চালককে প্রায় দশ মিনিট বিলম্বতায় শুরু হল ফিরতি যাত্রা। গাড়ির গতিবেগ এ সময় ছিল অত্যধিক। ওরা কিন্তু আলাপে মত্ত। একে অপরের সহিত কোথায় , কে , কখন বেশি আনন্দ ও সৌন্দর্য্য উপভোগ করেছে। কেহ একটি সৌন্দর্য্য সম্বলিত আনন্দময় দৃশ্য বা খেলায় অংশ গ্রহণ করেনি বা পারেনি বলে আফসোসের সীমা পরিসীমা নেই।
তারপর ও তাদের আনন্দ উচছাস , উৎফুল্লতা দেখে নিজের অজান্তেই মানসিক সমৃদ্ধি অনুভব করি। তাদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ উম্মুক্ত করতে বয়স্কদের সহায়তা , সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা অবশ্য করণীয়।
অজানাকে জানা , অচেনাকে চেনার কৌতুহল নিবৃত করার বিকল্প নেই। ওরাই ভবিষ্যত প্রজন্ম, আগামী দিনের কর্ণধার। বিনোদন চিত্তের অপরিসীম বিত্ত। জ্ঞানার্জনের ভ্রমণ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আমি লক্ষ্য করেছি তাদের মধ্যে খেলাধূলার সরঞ্জাম তৈরীর কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা। উদ্ভাবনী কৌশল রপ্ত ,আয়ত্বে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত। তা থেকে উদ্ভাবনী শক্তি, চিন্তা , ধ্যান-ধারণা প্রসারিত অনায়াস লব্ধ। সকল শিশু কিশোররা সুস্ত সুন্দর, সুস্বাস্ত্যের সহিত নৈতিক মুল্যবোধের সংযোজনে, নির্মল চিত্তের অধিকারী হয়ে গড়ে উঠুক এ প্রার্থনা স্রষ্টার নিকট নিরন্তর। বাসায় পৌছে অনেক দিন তাদের এ আনন্দময় মুহুর্তের গল্প শুনেছি আড়ালে আবড়ালে ও সরাসরি।
সৃজনশীল মননে সমৃদ্ধ হোক আগামী বংশধররা এ প্রত্যাশায়। দিনটি হয়ত অনেকের নিকট থাকবে অবিস্মরণীয় হয়ে দিনের পর দিন। আবার কেহ হয়ত ভুলে যাবে ক্ষণিকের স্তায়িত্বে। সবচেয়ে বড় কথা একটি দিন চলে গেল জীবন খাতার পাতা থেকে ঝরে গেল অজানিত বিস্মৃতির পথে, অনন্ত ভবিষ্যতের অতল গহবরে। কিন্তু তাদের সান্নিধ্য আমাকে প্রেরণা ও স্পন্দন জাগায় স্মৃতিময়, অমলিন, অক্ষয় হয়ে হৃদয়ের তন্ত্রীতে।
লেখক মিজানুর রহমান মিজান সম্পাদক দীপ্তি বিশ্বনাথ সিলেট।
0 Comments