রূপোর রূপকথা পুর

shrutisahitya.com


মা / মালিপাখি


কোথায় আমার পদ্য বাবুই ! কোথায় আমার শিউলি আতর গাঁটি  ?

খুঁজতে খুঁজতে দিন কেটে যায় তবু আপন মনে একলা চাঁদে হাঁটি  ।

হাঁটতে হাঁটতে কোথায় যে যাই আমি , চাঁদের দেশের চরকা কাটা বুড়ি ;

কেবল ছড়ায় আলোর আবীর হেসে  । পথ গুলো তাই আপন মনে জুড়ি  ।

বুকের ভিতর কত কী ফুল ফোটে ! একলা আমি শোনাই যে গান কাকে  ?

দু হাত দিয়ে জড়িয়ে থাকি আমি সেই যে আমার ছেলেবেলার মাকে  !



কোথায় আমার পদ্য সানাই ! কোথায় আমি সাগরকে ফের ডেকে ,

বলতে পারি এই যে আমার ও ভাই ; পথ চলি রোজ তোমায় বুকে রেখে  ।

দাও শুধু ভাই ছোটার সাহস তুমি । পেরুই আবার অচেনা সব সাঁকো  ।

বাড়িয়ে দিলুম আশার দু হাত ভোরে । আমায় শুধু আপন করে ডাকো  !

খুশির পালক উড়তে থাকে মনে , হারিয়ে যাওয়া বনপথের বাঁকে ;

দু হাত দিয়ে জড়িয়ে থাকি আমি সেই যে আমার ছেলেবেলার মাকে  !



কোথায় আমার পদ্য তিতাস ! ময়না , শালিক , তিতির পুরের ছুটি ---

হয়তো আমি-ই এখন আবার শোনো , ভোর বেলা রোজ পাহাড় চূড়ায় উঠি  !

কেউ কি তাকাও একটি বারও ? ভাবতে ভাবতে সাতটি পাখির শিসে ,

পথ হারিয়ে ওদের সাথে আমি , হঠাৎ করেই কখন যে যাই মিশে  ।

কী যে মধুর সুর ছড়িয়ে তারা , আপন করে সবাই কাছে ডাকে  ।

দু হাত দিয়ে জড়িয়ে থাকি আমি সেই যে আমার ছেলেবেলার মাকে  !



কোথায় আমার পদ্য মাদল ! সাঁওতালী গান , পাহাড়তলির বাঁশি --

এই যে বুকে ছড়িয়ে আছে দ্যাখো , রূপকথা আর কুরচি ফুলের হাসি  !

সবাই ছড়ায় টাপুর-টুপুর খুশি । মোহর দুপুর নামতা শোনায় দুলে  !

দোলায় কে যে ছবির ভুবন খানি ? গভীর নেশায় পথ গুলো যাই ভুলে  !

পথ হারাবো কেমন করে আমি ? পথ যে শুধুই ছবির ভুবন আঁকে  !

দু হাত দিয়ে জড়িয়ে থাকি আমি সেই যে আমার ছেলেবেলার মাকে  !


মাথা / মালিপাখি




কি পারো কি ? কি পারো কি ? কিছুই পারোনা যে  !

নেই কোনো মান , নেই কোনো হুঁশ । খুব তুমি খুব বাজে  !



না পারাটাই তোমার কাছে সহজ বনে গেছে  !

কি করে আর রইবে তুমি দোলনা দেশে বেঁচে  !



হাড় জির জির তোমার দেহে বসুক আঁধার এসে  !

যাও ভেসে যাও , এবার কবি তোমার অলীক দেশে  -- !



আমরা ওড়াই মেধার মগজ । আমরা ঘোরাই লাঠি !

চাইনা রূপোর রূপকথা পুর ! চাইনা সোনার কাঠি  !



তাকাইনা কেউ গাছের দিকে , ছুঁইনা রোদের হাসি  !

মেধার মগজ ছড়াই পাড়ায় আমরা ভুবন বাসি  !



এইতো তোমার কবির জীবন ! জমাও হেলা খালি  !

ফুরায় তোমার সকল খেলা । চোখেও পড়ে কালি  !



আমরা পারি । আমরা পারি । আমরা অনেক কিছু  --- !

নেই ক্ষমতা ! দু-হাত আকাশ ! কবির মাথা নিচু  !


ঘুম / মালিপাখি




আমি দুললাম মেঘনা পাতায় । আমি ডুবলাম জলে  ।

গান গেয়ে যায় কবিতা দেশ । গান গেয়ে পথ চলে  -- ।



বাউল সাগর আগুন দিলেন । হেসে বললেন ওহে  ,

গুন টেনে যাও । গুন টেনে যাও । শুধু বাঁচবার মোহে  !



ছবি আঁকলাম । উড়িয়ে দিলাম । উড়তে উড়তে তারা  --

দুলিয়ে দিলো আমার বুকে আকাশমনির চারা  !



আকাশ আমার । আকাশ আমার । হাজার বছর শেষে  -- ।

কেউকি নেশায় পড়বে ছবি ? কেউকি হাওয়ায় ভেসে --  



বলবে আবার ও শিউলি দ্বীপ ! তোমায় খোঁজা বাকি  !

ভাবতে ভাবতে পাথর পুরের পথিক হতে থাকি  !



পাথরে রাত । পাথরে রাত । পাথরে রাত পড়ে ।

কিশোরী তুই জাগাস আমায় হাজার বছর পরে  -- !


ছুট / মালিপাখি




ভোর হয়েছে , ভোরের আলোয় আকাশ ঘুড়ি ;

নুপুর পরে দোলায় হাতের মোহর চুড়ি  ।

বুকের ভাষা বিজন সুতোয় আবার জুড়ি  ।

এখন তুমি করছো কিগো চাঁদের বুড়ি  ?

ঘোড়া ছুটছে-- ঘোড়া ছুটছে-- ঘোড়া ছুটছে ---



ভোর হয়েছে , ভোরের আলোয় কদম বাঁশি ;

হৃদয় জুড়ে ছড়ায় সবুজ দিনের হাসি  ।

বাতাস যেন বাজায় খুশির ঝাঁঝর - কাঁসি  ।

এখন তুমি করছো কিগো পারুল মাসি  ?

ঘোড়া ছুটছে--- ঘোড়া ছুটছে--- ঘোড়া ছুটছে----



ভোর হয়েছে , ভোরের আলোয় পালক তুলি ;

সুজন দ্বীপে সাজায় স্মৃতির দুপুর গুলি  ।

পাতার ডাকে বাউল মনের দুয়ার খুলি  ।

এখন তুমি করছো কিগো কুমোরটুলি  ?

ঘোড়া ছুটছে--  ঘোড়া ছুটছে--- ঘোড়া ছুটছে---



ভোর হয়েছে , ভোরের আলোয় কিশোর পাড়া ;

দোলায় বুকে ক্ষীরের পুতুল ,  গোলাপ চারা  ।

পাহাড় থেকে গড়ায় মেঘের বিমল ধারা  ।

এখন তুমি করছো কিগো কুসুম তারা  ?

ঘোড়া ছুটছে---  ঘোড়া ছুটছে -- ঘোড়া ছুটছে ----

.

.

.

নদীর সাথে কথা  //  বিকাশ দাস (বিল্টু )



নদী তোমার এতো জল ;

    তুমি

  তবুও কি ভেজো না...?

নদী তুমিও একা --

---    আমিও একা

একান্তে কথা বলি

      নিরালায় ----

তুমি আমার কান্না বোঝো ,

আমিও বুঝি তোমার কান্না....

তাই তো তুমি আর আমি বন্ধু

না হয় দুঃখ গুলি ভাগ করে নেই

না পাওয়ার যন্ত্রণার ---

নদী আপন বেগে না পাওয়ার যন্ত্রনায় ছোটে

আমিও একাকী ঘরে ফিরি

    নীরবে

      গোপনে

           উদাসী হয়ে......

.

.

.

নাগিনী //  মিজানুর রহমান মিজান


নাগিনীর ছোবলে , প্রাণ যায় অকালে

বন্ধু তোরা উপায় বল না।

সাজানো বাগানটি, মেয়ে মাত্র একটি

ছুড়িল তীরটি, ধবংস জীবনটি

তীব্র বিষে প্রাণ বাঁচে না।

সে যে হৃদয়হীনা,অন্তরে কুঠিল ময়মনা

ফল ফুল বুঝে না, সহযোগি একজনা

দুধ কলায় সাপ পোষ না।

বার বৎসরের বন্ধুত্ব, নষ্ট করল নাই মমত্ব

অহংকারে অন্ধত্ব, উত্তর সুরে প্রাপ্ত

পাষাণী করে ছলনা।

Post a Comment

0 Comments