শুভ বাবা মায়ের সাথে আর দীপ্তসি মায়ের সাথে ট্রেনের একই ক্যুপে জার্নি করে কলকাতা থেকে হায়দ্রাবাদে এসেছে। শুভ-র বাবাকে gastroenterology হসপিটালে আর দীপ্তসি চোখের চিকিৎসা করাতে এসেছে। ট্রেনেই দুই পরিবারের মধ্যে বেশ সখ্যতা গভীর হয়। শুভ আর দীপ্তসি একে অপরের পেছনেও লেগেছে। দীপ্তসিদের সুবিধের জন্য আই হসপিটালের কাছেই একটা লজে পাশাপাশি দু’টো ঘর ভাড়া নিয়েছে। শুভ-র বাবার কোলন ক্যানসার ধরা পড়েছে। এক সপ্তাহ পরে অপারেশন হবে। আর দীপ্তসির পছন্দের চোখের ডাক্তার তিনদিন পর দেখবেন। শুধু শুধু ঘরে বসে থেকে বোর না হয়ে শহরটা ঘুরে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় ওরা। ওরা, মনে শুভ আর দীপ্তসি। আজ তাই চা খেয়ে সাতটায় বেরিয়ে যায়। এত কাছে জুবিলী হিলস-এ এত সুন্দর একটা দেখবার মতো জায়গা আছে, তা ভাবতে পারে নি দীপ্তসি। প্রায় চার শ’-একর জায়গা নিয়ে তৈরি KBR National Park. কংক্রিটের জংগলের মাঝে যেন স্বাস নেওয়ার জন্য প্রাকৃতিক একটা ফুসফুস। এটা ভোর থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত খোলা। তারপর আবার বিকেলে খুলবে। টিকিট কেটে ওরা ভেতরে ঢোকে। আঃ, এ যেন উদ্ভিদ আর প্রাণীজগতের প্রাকৃতিক মেলবন্ধন! অত্যাধুনিক শহরের মাঝে হঠাৎ পাওয়া স্নিগ্ধ সবুজ বনানী। মরুভূমিতে মরুদ্যান খুঁজে পাওয়ার মতো বিষয় যেন! ওরা হাঁটতে হাঁটতে দেখে যাচ্ছে। প্রায় ছ’শ প্রজাতির গাছগাছালি,১৪০ রকমের রঙ বেরঙের পাখি এখানে সুরক্ষিত। এদের মধ্যে প্যাঙ্গলিন, ময়ূরও রয়েছে। ২০ প্রজাতির সরীসৃপও রয়েছে। দীপ্তসি সব চেয়ে খুশি নানা রঙের নানান আকারের প্রজাপতি দেখে। এক জায়গায় এতগুলো প্রজাপতি দেখতে পাওয়া মোটেই সহজ কথা নয়। দীপ্তসির খুব ইচ্ছে করছে ওই প্রজাপতিগুলোকে ধরে আদর করে দেয়। কিন্তু উপায় নেই। ওগুলোকে ধরা বারন। অনেকটা পথ হেঁটেছে। প্রজাপতিদের ছেড়ে যেতেও ইচ্ছে করছে না। শুভ-র তাড়া খেয়ে আবার হাঁটতে শুরু করে। পার্কের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য স্থান হলো চিরাণ প্যালেস। এটা ছিল রাজকন্যার বাসস্থান। সেখানে রয়েছে গোল বাংলো, মোর বাংলো, গোশালা, ঘোড়াশাল আর হাতিশাল। সুন্দর বাতাস বইছে। তাই ওরা প্যালেসে বসেই কাটায় বেশ কিছুটা সময়। দশটা বাজতেই বেড়িয়ে লজে ফিরে আসে। দীপ্তসির চোখে মুখে তৃপ্তির হাসি দেখে শুভ খুশি হয়।
স্নান সেরে শুভ খাবারের অর্ডার দিয়ে তার মা সুনন্দাকে বলে,
—মা, তোমাদের তিন জনের জন্য খাবার আসবে। আমরা বাইরেই খাবো।
—ঠিক আছে, যা বাবা। ঘুরে আয়। কাল থেকে তো আবার ছুটোছুটি করতে হবে।
শুভ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে শুধু বলে,
—হুঁ! তুমি বেশি চিন্তা করো না মা। সব ঠিক হয়ে যাবে। হাঁক দিয়ে বলে,
—দীপ্তসি, আপনার হলো?
দীপ্তসি তাদের ঘরের ভেতর থেকে বলে,
—এই তো, আসছি।
দীপ্তসি বেরিয়ে আসে। বলে,
—চলুন, আমি রেডি!
দীপ্তসির মা কণিকা পেছন পেছন এসে বলে,
—তোরা যাবি কোথায়?
শুভ বলে,
—নতুন এক অভিজ্ঞতা অর্জন করতেই এক জায়গায় যাচ্ছি। আমিও ঠিক জানি না। তাই এসেই বলবো।
—জানি না বাপু। তোমরা যে কি করো। কাল যেসব জাগায় গিয়েছিলে, সবই শুনলাম। সেসব সম্বন্ধে তো আমাদের কোনো ধারনাই নেই।
—তাহলে আজ চলুন।
—না বাবা, দরকার নেই। তোমরাই যাও।
সুনন্দা বলে,
—হ্যাঁ, ওসব আমরা বুঝবো না।
শুভ বলে,
—আমরা তাহলে আসি। আন্টি, আপনারা সময়মতো খেয়ে নেবেন।
শুভ আর দীপ্তসি বেরিয়ে যায়। অটো ড্রাইভারকে বলে,
—হাইটেক সিটি, ইনঅর্বিট মল চলো।
—বৈঠিয়ে।
দীপ্তসি অবাক হয়ে বলে,
—মলে কেন যাচ্ছি। কিছু তো কিনবো না।
—লাঞ্চ করতে যাচ্ছি Dialogue in the
Dark”-এ। কেন, আপত্তি আছে?
—খেতে যাবো অতোদূরে?
—হ্যাঁ, তাই যাবো। (ভেংচি কেটে) তারপর ওখান
থেকে বেরিয়ে বলবে …
দীপ্তসি তাকায়। শুভ আমতা আমতা করে বলে,
—না, মানে বলবেন। হ্যাঁ, বেরিয়ে বলবেন –
ইউরেকা!
—তা ঠিক নয়। আপনি কাল যেসব জায়গায়
নিয়ে গিয়েছেন, খারাপ লাগে নি।
মলের সামনে অটো দাঁড়ায়। ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে ফিফথ ফ্লোরে এক রেস্তোঁরার সামনে এসে শুভ বলে,
—এই সেই জায়গা।
দীপ্তসি নামটা দেখে। “Dialogue in the Dark” দেখে ভ্রু কুঁচকে যায়। শুভ ইশারায় তাকে আশ্বস্ত করে। মহিলা রিসেপশনিস্ট হাসিমুখে আহ্বান করে,
—Welcome Sir and Ma’am. You are in such a restaurant, in which you get to experience food and taste in complete …
শুভ তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে,
—Please, let us experience the very unexpected phenomenon.
—Ok Sir. This is our menu card. We serve starters, proper main menu and then dessert. Please, place your order.
শুভ দীপ্তসিকে জিজ্ঞেস করে,
—আপনি কি খাবেন, ভেজ নাকি নন-ভেজ?
—আপনি?
—মঙ্গলবার আমরা ভেজ খাই।
—তাহলে আমিও তাই খাবো।
—হুঁ, ঠিক আছে।
শুভ দু’জনের খাবারের অর্ডার দেয়। রিসেপশনিস্ট বলে,
—Sir, you have to keep all your belongings like phones, watches, glasses etc. in the locker and then you may enter into the room.
দীপ্তসি অবাক হয়ে শুভ-র দিকে তাকায়। শুভ বলে,
—Excuse me. May I know the reason?
—Why not Sir? We don’t allow to take such things which may cause reflection in the room.
—Ok. Thank you.
—Most welcome, Sir.
ওরা তাদের সব জিনিস লকারে রাখে। এবার রিসেপশনিস্ট গেট খুলে দিয়ে বলে,
—please keep inside. Some one is waiting to guide you.
ওরা ভেতরে ঢুকতেই দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার! দীপ্তসি ভয় পেয়ে বলে,
—এ কোথায় এলাম? আপনি কোথায়?
—এই তো, এখানেই আছি।
দীপ্তসির গলায় আতঙ্কের স্বর,
—কিছুই বুঝতে পারছি না তো!
—একটু ধৈর্য ধরুন। unexpected experience-এর জন্যই তো এখানে এসেছি।
—ধুস, আমার ভয় ভয় করছে।
—ধ্যাৎ, ভয়ের কি আছে। আলোতে রোজই খান। আজ না হয় অন্ধকারেই খাবেন! অন্যরকম অভিজ্ঞতা।
ঝকঝকে ইংলিশে এক পুরুষ কন্ঠ বলে ওঠে,
—Good afternoon Ma’am. Welcome to our wonder world. I’m Shankara. Please, hold your hands each other.
কন্ঠস্বর শুনে একটা মানুষের চেহারা সম্বন্ধে ধারণা করে নিতে হলো। মনে হলো বেশ স্মার্ট এক যুবক সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।। শুভ তার হাত ধরছে না দেখে দীপ্তসি বলে,
—কি হলো, হাতটা ধরুন!
—কেন, আপনি ধরতে পারছেন না?
—না, আপনিই ধরবেন।
—তাহলে “আমার হাত দু’টি ধরে তুমি নিয়ে চলো সখা” গানটা গেয়ে ফেলুন দেখি!
—সব সময় পেছনে লাগতে ভালো লাগে, তাই না?
দীপ্তসি সেই কণ্ঠস্বরের উদ্দেশ্যে বলে,
—Hello!
—Yes ma’am.
—It is too dark. Why don’t you switch on the lights?
—Sorry ma’am. There is no light here.
—Oh! Then Ok.
—Ma’am, Please hold your hands and follow my footstep noise.
খট খট করে জুতোর শব্দ এগিয়ে যায়। শুভ বাধ্য ছেলের মতো দীপ্তসির ডান হাত ধরে শব্দ অনুসরণ করে হাঁটতে হাঁটতে বলে,
—ভয় নেই, আমি আছি তো!
—হ্যাঁ! কি আমার বীরপুরুষ রে। বিপদগ্রস্ত একটা মেয়ের হাত ধরতেও ভয় পান, আবার বড় বড় কথা বলছেন?
—ওঃ, এখানেও ঝগড়া করবেন?
গাইড বলে,
—Ma’am, we are going to take a right turn.
—Alright.
—We’re almost there ma’am. A-n-d now we are here. Can you feel the chair in front of you?
—Ummm, yes, yes, I can. (শুভকে বলে) আপনি পেয়েছেন তো?
—হুঁ।
—please be sitted.
—Hmmm.
—I’ll be right back.
ওরকম অন্ধকারকে সয়ে নিয়ে বসতে একটু অসুবিধে হচ্ছে। একটু পরেই ফিরে এলো সেই কন্ঠস্বর,
—Ma’am, there are plates on the table on which we’ll serve your food.
ওরা হাত দিয়ে অনুভব করে প্লেটগুলোকে।
—Yes, I’ve got it.
তারপর সে নিয়ে এলো ফিঙ্গার বোল, হাত ধোয়ার জন্য। সেটা টেবিলের একদিকে রাখলো, তাও শব্দ শুনে আন্দাজ করে নিতে হলো। সে বলে,
—Please, wash your hands.
ওরা হাত ধুয়ে নেয়। দীপ্তসি বলে,
—আচ্ছা, আমরা তো কিছুই দেখতে পারছি না অন্ধকারে। তাহলে ওরা কি করে সব কাজ এত সহজে করতে পারছে? ওদের কোনরকম অসুবিধে হচ্ছে বলে তো মনে হচ্ছে না!
—এটাই তো এখানকার বিশেষত্ব!
তারপর তাদের খাবার এলো একে একে। প্রথমে স্টার্টার, তারপর প্রপার মেইন কোর্স এবং শেষে ডেজার্ট। সবকটা খাবারই ভীষণ সুস্বাদু। যদিও সেগুলো দেখা যাচ্ছে না। হ্যাঁ, গন্ধটা পাচ্ছে ওরা। মুখে স্বাদ পাচ্ছে। কিন্তু খাবারটা দেখতে না পেয়ে একটা কিছুর অভাব অনুভূত হচ্ছে। গাইড বলে,
—Ma’am, please you feel the texture, smell and taste of the food and imagine it.
সত্যিই তাই । খাবারটাতে হাত দিয়ে বুঝে নিতে হচ্ছে, সেটা দেখতে কেমন হতে পারে। সাধারণ ভাবে কিছু খেতে গেলে প্রতিটা ইন্দ্রিয় দিয়ে তার চেহারা, স্বাদ, গন্ধ, চামচ- প্লেটের শব্দ বা টেক্সচার পরিপূর্ণ ভাবে অনুভূত হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সব কটা ইন্দ্রিয় ব্যবহার করা যাচ্ছে না। খাবারটা দেখতে না পারায় একটা অসম্পূর্ণতা অনুভব করছে তারা। অথচ সব ইন্দ্রিয়কে যখন কাজে লাগানো হয়, তখন প্রত্যেকটাকে আলাদা আলাদা ভাবে অনুভব করা যায় না। প্লেট থেকে মুখের দূরত্বের কথা কেউ ভাবে? এটা একদম আলাদা এক অভিজ্ঞতা। সেই বিষয়টা এরা এই অন্ধকারে কিভাবে ম্যানেজ করছে তা শুভ-রা ভেবে পায় না। তাহলে কি তারা কোনো প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে এসব করে? খাবার সার্ভ করা, প্লেট চেঞ্জ করা, যাওয়া আসা – এসব তাহলে সম্ভব হয় কি করে! দীপ্তসি তো কাঁটা চামচ দিয়ে খেতে গিয়ে তার মুখ কোথায় বুঝতে না পেরে নাকে খোঁচা খেয়ে “উঃ” শব্দ করে ফেলে। উৎকন্ঠিত হয়ে শুভ জিজ্ঞেস করে,
—কি হলো?
—কিছু না।
—তাহলে “উঃ” করলেন কেন?
—সব বলতে হবে? তারপর তো আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবেন।
—ধ্যাৎ, বলবেন, নাকি আপনাকে ফেলে বেরিয়ে যাবো?
—এই নাঃ। চলে যাবেন না প্লিজ। আমি বলছি।
—হুঁ, বলুন।
—কাঁটা চামচের খোঁচা খেয়েছি নাকে?
শুভ খুব কষ্টে হাসি চেপে রেখে বলে,
—যাক, আপনার সম্পর্কে নতুন তথ্য জানলাম।
—কি তথ্য?
—আপনি নাক দিয়ে খান।
—উঃ, আপনাকে বলেই ভুল করেছি।
—না না, ঠিক আছে।
যাই হোক, কষ্টে সৃষ্টে অথচ অনন্য এক আবহে খাওয়া শেষ করে ওরা। শুভ দীপ্তসিকে জিজ্ঞেস করে,
—আপনার খাওয়া হলো?
—হুঁ, ও বাবাঃ, এই শেষ করলাম।
শুভ গাইডকে বলে,
—Hello! We’ve completed our task.
গাইড হেসে বলে,
—Did you like it Sir?
—Oh yes. It is an unparalleled amazing experience.
—The world call them “blind”, who can’t see. But we name it “visually challenged.” The God gives them a challenge of not having eye-sight. And they accept the challenge. They want to share to all that how they live their normal lives. That is the initiative of “Dialogue in the Dark.”
—Yes, we are visually challenged or impaired in the world of darkness. But you are expert here. Thank you for giving us this amazing experience. Now let’s go out.
—Ok Sir.
সেই শব্দ অনুসরণ করে শুভ-র হাত ধরে দীপ্তসি বেরিয়ে আসে। দরজা খুলতেই আলোর ঝলকে তাদের চোখ কুঁচকে যায়। চোখ স্বাভাবিক হতেই ওরা গাইডের দিকে তাকিয়ে দেখে, সে ভাবলেশহীন এক গাল হাসি আর পাথরের চোখ নিয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। দীপ্তসি চমকে ওঠে। গাইড ভেতরে চলে যায়। কিন্তু দীপ্তসির ভেতরটা এমন ভাবে মুচড়ে ওঠে যে, নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না। শুভ-র বুকের ওপর মুখ লুকিয়ে অঝোরে কেঁদে ফেলে। শুভ আচমকা দীপ্তসির পরিবর্তিত মানসিক অবস্থানে বিহ্বল হয়ে মাথায় তার দু’হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,
—এরকম করছো কেন? চুপ করো। শান্ত হও। আমি আছি তো পাশে। আমার দিকে তাকাও। তাকাও!
দীপ্তসি ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতেই শুভ-র দিকে তাকিয়ে বলে,
—আমি যে আমার ভবিষ্যৎ দেখতে পেলাম।
—কে বলেছে? দেখবে তোমার চোখ ঠিক হয়ে যাবে। আর আমার ওপর বিশ্বাস আছে তো। আমি তোমার পাশে আছি। হ্যাঁ, সারা জীবন।
—আপনি তো এখানে চাকরি করবেন। আর আমি থাকবো কলকাতায়।
—ধ্যাৎ পাগলী। কে একজন বললো, আর তাতেই আমি নাচবো, তাই হয় নাকি? (দীপ্তসির নাকটা টেনে ) আমিও কলকাতায় থাকবো।
—সত্যি!
—হ্যাঁ, তিন সত্যি।
শুভ দীপ্তসিকে শান্ত করিয়ে বলে,
—একটু দাঁড়াও। আমি বিলটা মিটিয়ে দিই।
দীপ্তসি শুভ-র হাত ধরে দাঁড় করিয়ে বলে,
—না, আজকের বিলটা আমি পে করবো।
—কেন? আমিই এনেছি তোমাকে।
—না আমি। কারণ, আজ আমি জীবনের শুভকে উপহার পেয়েছি।
—তাই? ঠিক আছে, তুমি আমাকে সব দিক দিয়েই বেঁধে দিয়েছো।
দীপ্তসি বিল মিটিয়ে দেয়। রিসেপশনিস্ট শুভকে জিজ্ঞেস করে,
—What happened? Anything wrong?
—No no, nothing happened. She was cut to the quick by their troublesome lives.
শুভ লকার থেকে তাদের জিনিসপত্র বের করে নিয়ে নতুন সম্পর্কে উদ্দীপ্ত হয়ে দীপ্তসির হাত ধরে বেরিয়ে যায়।
https://banglasahityamancha.quora.com/
0 Comments