আমায় বাঁচতে দেয় // সঞ্জীব ধর
ওহে বীর বাঙালি, আমি পথশিশু
পথে পথে ভিক্ষা করি
আমার ভিক্ষার টাকায় আর কয়দিন খাবি?
মানছি, যাদের ডিম্বানু শুক্রাণু নিষিক্তের ফলে আমার জন্ম, তারা ব্যবসায়ী।
পেরিয়ে যায় আষাঢ় শ্রাবণ;
আমার দিকে নজর দিবি কখন?
আমার পেটে বাজে ক্ষুধার কাঁসর।
কোটি টাকার গাড়ি করে তোদের যাওয়া আসা
এত সুন্দর পৃথিবী, আমারেও একটু দেখা
দিস না ছুড়ে দু'চার টাকা।
মানুষ হিসেবে বাঁচতে দেয়
আমার অধিকারটুকু ফিরিয়ে দেয়
আমি পথশিশু, আমি বাঁচতে চাই
আমারে বাঁচতে দেয়।
.
.
.
নিঃশব্দে // সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
এতটা নিঃশর্ত নিঃশব্দে জেগে থাকা
মূর্তিমান যমদূত যেন
তুমি কি জানো পৃথিবী গদ্যময়
পরমানু বোমা হেন !!!!
.
.
.
হলুদ সর্ষেক্ষেত// সুদীপ ঘোষাল
অসীম ধৈর্য
তোমাকে ধরতেই হবে
এখনও তুমি কবিতার ছন্দে
কলমের ডগায় জ্যোৎস্না ঝরাও
দেশ,কাল,পাত্র তোমার কাছে কিছু চায়
তোমাকে ধরতেই হবে
এখনও তুমি কবিতার ছন্দে
কলমের ডগায় জ্যোৎস্না ঝরাও
দেশ,কাল,পাত্র তোমার কাছে কিছু চায়
সামনে হলুদ সর্ষেক্ষেত
কিম্ভূতের মত কালাপাহাড় টপকে
কবিদের আশীর্বাদের ঝর্ণায়
রাঙিয়ে নাও নিজেকে
কবিদের আশীর্বাদের ঝর্ণায়
রাঙিয়ে নাও নিজেকে
শক্ত চোয়াল
নির্জনতা গড়ে নাও
কালির আলপনায় আলোমহল
ধৈর্য ধরো সামনে ফুলকি
তুবড়ির রোশনাই হবে
কলমের ডগায় বন্দি হোক বিশ্ব।
নির্জনতা গড়ে নাও
কালির আলপনায় আলোমহল
ধৈর্য ধরো সামনে ফুলকি
তুবড়ির রোশনাই হবে
কলমের ডগায় বন্দি হোক বিশ্ব।
শুভ বিপ্লব
নিকষ কালো নাগপাশ খুলে
আশার পতাকা তোলো বন্ধু।
নিকষ কালো নাগপাশ খুলে
আশার পতাকা তোলো বন্ধু।
.
.
.
বই প্রকাশ // সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
অক্লান্ত পরিশ্রমে, আমার লেখা আজ
ওদের সাথে লড়তে বাধ্য হচ্ছে
আমার প্রকাশ ঘটল না। টাকার জন্য
বুক ঠেলে উঠে এলো না তৃপ্তির হাসি
অনেক আশা ছিল মনে।
বইমেলায় বিশিষ্টজনদের প্রতি অন্ধ ফকির
চোখের পাতার নিচে অশ্লেষ আবেশে
মুগ্ধ হব। নাঃ, হোলো না।
ওরা নাকি আমার বই ছাপতে সময় পায়নি
আরোও ভালো করে পরে ছাপবে-- কথা দিচ্ছে
তাকে লাগিয়ে দেবে।
চালাকি আর কাকে বলে ! বিশ্বাস মিটিমিটি
হরবোলা।
আমি কাক ডাকা ভোরে
সূর্য বেলায় ক্লান্ত মনে তৃষ্ণার্ত পীড়িত সংশয়ে
ঘুমোতে পারছিনা।
ওই ধূর্ত প্রকাশকের নাম প্রকাশ অনুষ্ঠানে
বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটাতে
আমি নোংরামি করতে পারব কি না
তোমরাই বলো।
আমি চোখ চেয়ে ঘুমোতে যাই।.
.
তিলোত্তমা আসবেই ফিরে
বিকাশ দাস (বিল্টু )
তিলোত্তমা তুমি আজ বাইজি ,
কি সুন্দর নাচ
রঙবাহারি সাজ
আলোর রোশনাইতে তোমার যৌবনে উছলায়
কি আনন্দ! আহা, কি আনন্দ !
আমি জানি বেশ
তুমি যে শেষ ;
অঙ্গার হয়ে ভুষির ন্যায় জ্বলছো --
কেউ দেখেনা ,দেখারও কথাও না
আমিই যে সব বুঝি ---
আমি মাতাল, নোংরা পল্লী তন্ন তন্ন করে ঘুরে
ক্লান্ত হয়ে বারে ডুকি
মনের দুঃখে দুপেগ মারি
হটাৎ গানের আসরে তোমার গান
সাজনা সাজনা...
বিবর্তনে হয়ত এই প্রেমের দাম ফিকে ,
কিন্তূ যেদিন খুবলে খেল তোমার নরম শরীর টা
তখন বুঝি সমাজ ঘুমিয়ে ছিল ?
এখন তোমায় আলো দেখিয়ে ঘরে আনতে
চাই সমাজ বলে ছি: ছি : ----
আমি ঘৃণা করি এই নরপিশাচের সমাজকে ,
আমি তিলোত্তমা তোমায় আমার ঘরে
আনবই, যতই বাধা আসুক ।
জানি তুমি আমায় না করবে
তবে এ যে ভালোবাসা.. ক্যামনে ভুলি ওগো ?
.
.
.
মেয়ে // সত্যেন্দ্রনাথ পাইন
মেয়ে হোওয়া খুব সহজ কি-না মেয়েরাই বলবে
বাবার চিন্তা, স্বামী চিন্তা, মাকে তীক্ষ্ণ সুরে বলার আক্ষেপ
তুলে দিতে পারে প্রতিমার বেশে প্রসাদীর ঢংয়ে
সে মানবী না দেবী -- এটাই বলতে--- করো সংক্ষেপ!!
তবু সে প্রিয়ংবদা বিশ্বাসের স্মৃতি, অতলান্ত সূর্য কুঁড়ি
এবং জ্বলন্ত মোমবাতির আলোয় আলোকিত তীব্র প্রতিবাদ
চতুর্থীতে সবার আগে করে পিণ্ডদান, সম্মুখে গোপনে
.
.
.
বিদায়ের খেলা // রণেশ রায়
সকালে বারান্দায়
রোদ্দুরের উঁকি ঝুঁকি
মেঘ ভেঙে বৃষ্টি
বন্যা খেলে টুকি টুকি
দুজনেতে চোখাচোখি।
রোদ্দুরের কালবেলা
দুপুরে দহন জ্বালা
হ`ল না আর মেলা,
কেঁদে ফেরে মেঘকন্যা
নেমে আসে বন্যা
গুমরে মরে সাহারা
চোখে তার ইশারা !
বন্যা ঘরে ফেরে
সে দিশাহারা।
আলো আঁধারের লুকোচুরি
দিনের শেষে গোধূলি,
হাতে হাত ধরে
দুজনেতে ঢলাঢলি,
কানে কানে কানাকানি
গলায় গলায় গলাগলি,
না বলা কথা যত
ইশারায় বলাবলি।
আলোর বিদায়ে
আঁধার নামে ঘরে
অশ্রু ঝরে চোখে
বৃষ্টি কেঁদে মরে
বন্যা খুঁজে ফেরে
রোদ্দুরের যাবার বেলা
বেদনা মধুর
বিদায়ের খেলা।
0 Comments